চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত দেশে ৩৮ হাজার ৯২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৪৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রায় ৪৩ শতাংশই ঘটেছে গত দেড় মাসে।
অঞ্চলভিত্তিক আক্রান্তের হিসাব বলছে, সর্বাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকা মহানগরে (৩০ শতাংশ)। এরপর বরিশাল বিভাগে ২০ শতাংশ, ঢাকা বিভাগে (মহানগরের বাইরে) ১৭ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬.৬৪ শতাংশ। তবে মৃত্যুর দিক থেকে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা মহানগরে (৮৮ জন)। বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যদিও এ সময়ে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কিছুদিন মশার সংখ্যা কমতে পারে। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
এদিকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, অঞ্চলভিত্তিক রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এখনো ডেঙ্গুকে জনস্বাস্থ্যের সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করছে না।
উল্লেখ্য, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার ২০০০ সাল থেকে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হন এবং মৃত্যু হয় ১,৭০৫ জনের। আর ২০২৪ সালে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন, মারা যান ৫৭৫ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টেকসই কৌশল গ্রহণ না করলে আগামী বছরগুলোতেও ডেঙ্গুর ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।