প্রায় ছয় দশকের গৌরবময় সংগীতজীবন। অসুস্থতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে মঞ্চে উপস্থিতি কমলেও গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আবারও শোনা গেল চিরচেনা কণ্ঠের জাদু। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মাননা, গান ও স্মৃতিচারণায় হয়ে উঠল এক স্মরণীয় সন্ধ্যা, যার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান। শুরুতেই প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমরকে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রদর্শিত হয় সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে নির্মিত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রামাণ্যচিত্র, যেখানে সমসাময়িক ও অগ্রজ-অনুজ শিল্পীরা তাঁর শিল্পকীর্তি নিয়ে কথা বলেন।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পর একাডেমির শিল্পীরা পরিবেশন করেন সাবিনা ইয়াসমীনের জনপ্রিয় গান ‘গীতিময় সেই দিন চিরদিন’-এর তালে সমবেত নৃত্য। পরে মঞ্চে এসে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমরা আমাদের ঐশ্বর্যকে উদ্যাপন করতে চাই। আজকের আসর সেই উদ্যাপনেরই অংশ, যেখানে সাবিনা ইয়াসমীন আমাদের অন্যতম সেরা সম্পদ হিসেবে সম্মানিত হচ্ছেন।”
প্রথমে পরিকল্পনা ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে তাঁকে সম্মাননা প্রদানের। তবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই বরেণ্য শিল্পীকে সম্মান জানানো হবে। গত শনিবারই এ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে গেলে তিনি সম্মতি জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী, সংস্কৃতিসেবী ও সাবিনা ইয়াসমীনের ভক্তরা। পরিবেশনায় ও স্মৃতিচারণায় ভরে ওঠা এ সন্ধ্যা দর্শকদের মনে করিয়ে দেয়, কেন তিনি এখনো বাংলার সংগীতভুবনের এক অনন্য নাম।