।। ডেস্ক রিপোর্ট।।
স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর সোমবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা যথারীতি চলছে।
গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত সংঘর্ষে অন্তত ২২০ জন আহত হন, যাঁদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনই শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত তিন শিক্ষার্থী বর্তমানে নগরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, এর মধ্যে একজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে জোবরা গ্রামের একটি বাড়ির দারোয়ান মারধর করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় জড়ো হলে গ্রামবাসীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্রের ব্যবহারসহ ঘটনাটি একপর্যায়ে জোবরা গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ক্যাম্পাসজুড়ে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে, যদিও শাটল ট্রেন ও শিক্ষকদের বাস স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, শহীদ মিনার ও গোল চত্বর এলাকা প্রায় ফাঁকা পড়ে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, “গতকালের পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল ক্লাস-পরীক্ষা হবে কি না, শিগগিরই জানানো হবে।”
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রশাসন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, “আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় বহন করছে। আশা করছি, আগামীকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিক হবে।”
হাটহাজারী থানার ওসি আবু কাওছার মোহাম্মদ হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এবং কাউকেও আটক করা হয়নি।