৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে এবারের এশিয়া কাপ। তবে সব আলো এখন ১৪ সেপ্টেম্বরের দিকেই—যেদিন মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান।
দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝেও এ ম্যাচ ঘিরে গোটা উপমহাদেশে তৈরি হয়েছে তুমুল উত্তেজনা। মাঠে ম্যাচ হবে তো? সেই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক ও মতবিরোধ।
সম্প্রতি লিজেন্ডস লিগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেনি ভারত। সেই প্রসঙ্গ তুলে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন বিসিসিআইয়ের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার মন্তব্য, ‘যদি খেলাই না হয়, তাহলে কোথাও খেলা উচিত নয়।’
অন্যদিকে সৌরভ গাঙ্গুলির মত অনেকটাই আলাদা। তার কথায়, ‘ভারত-পাক খেলা হচ্ছে, সেটা ঠিক আছে। পহেলগাঁওয়ের মতো ঘটনা হওয়া উচিত নয়, তবে খেলা বন্ধ হওয়াও ঠিক নয়। খেলাধুলা চলতেই থাকবে। সন্ত্রাস দমন করতে ভারত যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটাই হওয়া উচিত।’
এবারের এশিয়া কাপে ‘গ্রুপ এ’-তে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রথম ম্যাচ আমিরাতের বিপক্ষে। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের সঙ্গে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। যদি দুই দল সুপার ফোরে ওঠে—যা অনেকটাই নিশ্চিত—তাহলে ফের দেখা হবে। এমনকি ফাইনালেও আবার মুখোমুখি হতে পারে তারা, ২৮ সেপ্টেম্বর।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—লিজেন্ডস লিগে খেলেনি ভারত, তাহলে এশিয়া কাপে কেন খেলছে? বিসিসিআই সূত্রে জানা গেছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সম্মতিতে। সূচি চূড়ান্ত, এখন আর পিছু হটার সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে এসিসি প্রেসিডেন্ট মহসিন নকভি জানান, ‘২৫টি দেশ এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে। ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই। সবাই সম্মত।’
তবুও আলোচনায় বারবার ফিরে আসছে সীমান্ত উত্তেজনা, সন্ত্রাসবাদ আর কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রসঙ্গ। পাহেলগাঁও হামলার ছায়াও পড়েছে আলোচনায়।
এই অবস্থায় প্রশ্ন একটাই—ক্রিকেট কি এবারো দুই দেশের মধ্যে ‘সফট পাওয়ার’-এর সেতু হয়ে উঠবে? নাকি রাজনীতির চাপে থমকে যাবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্রিকেট লড়াই? উত্তর পেতে চোখ রাখতে হবে সেপ্টেম্বরের দিকে।