।। নিউজ ডেস্ক।।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটতে যাচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ-এর অনলাইন কার্যক্রম বন্ধে এবার সরাসরি মাঠে নামছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
রবিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দফতরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিগগিরই একটি সরকারি পরিপত্র জারি হতে যাচ্ছে। পরিপত্র প্রকাশের পরপরই বিটিআরসি মেটা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠাবে, যাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের অনলাইন কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা যায়।
বর্তমানে ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে দলটির একটি ভেরিফায়েড পেজ রয়েছে, যার ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। যদিও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পরপরই পেজটি থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিক পোস্ট ও বিবৃতি প্রকাশ করা হয় এবং নিয়মিত আপডেট চলছেই।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “পরিপত্র জারির সঙ্গে সঙ্গেই বিটিআরসির মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হলে দ্রুত কার্যকর হবে বলে আমরা আশা করছি।”
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলকে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনায় ডিজিটাল জগতে নিষ্ক্রিয় করা হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু তথ্যপ্রবাহ ও মতপ্রকাশের ওপর প্রভাব ফেলবে না, বরং আগামী দিনের নির্বাচন ও রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।