।। নিউজ ডেস্ক ।।
ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে আমদানি পর্যায়ের অব্যাহত শুল্ক-কর ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
দাম সহনীয় রাখতে গত ১৫ ডিসেম্বর সয়াবিন তেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ায় সরকার। এরপর আজ ট্যারিফ কমিশন নতুন করে আরও তিন মাস বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ৩১ মার্চ কর ছাড়ের বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে। শুল্কছাড়ের এ সুবিধা উঠে গেলে লিটারপ্রতি বাড়তি শুল্ক-কর গুনতে হবে ১৫-১৬ টাকা। এ আশঙ্কায় সয়াবিন মজুদের প্রবণতাসহ দামও আরেক দফা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা ও বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেল, অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল ও অপরিশোধিত ক্যানোলা তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর অব্যাহতি-সুবিধা পাবেন আমদানিকারকেরা। এ ছাড়া ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে।
এদিকে গতকাল (১৬ মার্চ) দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট সভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বৈষম্য কমাতে পরোক্ষ করের চেয়ে প্রত্যক্ষ কর আদায়ে জোর দেওয়া হবে। পরোক্ষ করের প্রভাব ধনী-দরিদ্র সবার ওপর সমানভাবে বর্তায়। তাই পরোক্ষ করের চেয়ে প্রত্যক্ষ কর আদায়ে জোর দেওয়া হবে।