ক্রিকেট মাঠে বিরাট কোহলিকে নতুন করে চিনিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ব্যাট হাতে অসংখ্য রেকর্ডের মালিক, দুর্দান্ত ফিটনেস, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও আপোষহীন মনোভাব তাকে এনে দিয়েছে অনন্য উচ্চতা। ৩৬ বছর বয়সেও যেভাবে নিজেকে শীর্ষে ধরে রেখেছেন, তা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। সদ্য টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিলেও ওয়ানডে এবং আইপিএলে তিনি এখনও ভারতের অন্যতম ভরসা।
তবে মাঠের বাইরের কোহলির ব্যক্তিত্ব নিয়ে জানার সুযোগ খুব কমই হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তুলে ধরলেন কোহলির চারটি অজানা দিক। ধোনির ভাষায়, “কোহলি দারুণ গান গায়, অসাধারণ নাচে, চমৎকারভাবে অন্যদের অনুকরণ করতে পারে এবং প্রচণ্ড মজাদার একজন মানুষ। যদি মুডে থাকে, যে কাউকে বিনোদনের সাগরে ভাসিয়ে দিতে পারে।” ধোনির মতে, কোহলি আসলে ‘এক সম্পূর্ণ বিনোদনের প্যাকেজ’।
যদিও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা ম্যাচ চলাকালীন কোহলির নাচ ও কৌতুকপ্রিয়তা বহুবার দেখা গেছে, তবে তার গায়কী বা মিমিক্রির দক্ষতা এতটা স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর রোহিত শর্মার সঙ্গে কোহলির ভাংরা নাচ ভাইরাল হয়েছিল, কিন্তু গানের গলা ও অনুকরণে পারদর্শিতা নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ তথ্য।
ধোনি ও কোহলির সম্পর্ক বরাবরই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর কোহলি জানিয়েছিলেন, পুরোনো সতীর্থদের মধ্যে একমাত্র ধোনিই তাকে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থনের বার্তা পাঠিয়েছিলেন। বাকিরা শুধু গণমাধ্যমে পরামর্শ দিয়েই থেমেছিলেন।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে ধোনির নেতৃত্বে তরুণ কোহলির অভিষেক ঘটে বড় মঞ্চে। এরপর ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়েও ছিল এই দুই তারকার দারুণ সমন্বয়। বহু ম্যাচে ব্যাট হাতে একে অন্যকে সহযোগিতা করে ভারতকে জিতিয়েছেন তারা।
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, আর কোহলি তার ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় পৌঁছে গেছেন। তবে মাঠে ও মাঠের বাইরে, বিরাট কোহলির গল্প যে এখনও শেষ হয়নি, সেটি ধোনির কথাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।