।। নিউজ ডেস্ক ।।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভটু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে আনা সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। এছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে। গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে খালেদা জিয়াকে খালাস দেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভটু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ওই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক রুশদ হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে তাঁকে মুক্তি দেন। তবে আইনিভাবে মামলা মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া। গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে দুটি আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। এর মধ্যে একটি ছিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আপিলের পেপারবুক তৈরির অনুমতি চেয়ে আবেদন। ৩ নভেম্বর অনুমতি পাওয়ার পর আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরি করা হয়। সে ধারাবাহিকতায় শুনানির পর ২৭ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।
আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে হাইকোর্টের খালাসের রায়ই চূড়ান্ত হলো। ফলে আইনিভাবে খালেদা জিয়ার খালাস বহাল থাকল।