।। নিউজ ডেস্ক।।
আবাসন বৃত্তি, পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশ্যে লংমার্চ কর্মসূচিতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে গুলিস্তান মাজার গেট ও পরে মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশ বাধা দিলেও তারা তা উপেক্ষা করে এগিয়ে যান। কাকরাইল মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন লিমন, ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিনিধি সোহান ফরাজি এবং দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মেহেদী।
অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের এই বর্বর হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “আমার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এদিকে, রমনা জোনের ডিসি মাসুদ বলেন, “যমুনার সামনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো- ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দেওয়া এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করা।