।। নিউজ ডেস্ক।।
কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) টানা সংঘাত, গোলাগুলি ও উত্তেজনার পর অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় ভারত ও পাকিস্তান সম্মত হয় যুদ্ধবিরতিতে। এর পরবর্তী রাতটি ছিল সম্পূর্ণ শান্ত—রোববার (১১ মে) রাতে কোনো ধরনের গুলির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক কয়েকদিনের মধ্যে এটিই ছিল ‘প্রথম শান্ত রাত’।
জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে গত মাসে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এরপর একটানা চারদিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় ঘটে।
শনিবার বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থল, আকাশ ও জলপথে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার কথা ছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার রাতজুড়ে সীমান্ত ও আন্তর্জাতিক সীমানাজুড়ে কোনো গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি, যা সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে স্বস্তির খবর।
তবে রাত গভীর হতেই ফের উত্তেজনা বাড়ে। ভারত অভিযোগ করে, সন্ধ্যায় সমঝোতায় পৌঁছানোর পরও জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগর, গুজরাটসহ বিভিন্ন স্থানে ড্রোন উড়েছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “যে সমঝোতায় উভয় দেশের সেনাপ্রধানেরা পৌঁছেছিলেন, তা পাকিস্তান বারবার লঙ্ঘন করেছে। এটি অত্যন্ত গুরুতর।” তিনি জানান, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এর ‘যথাযথ ও উপযুক্ত’ জবাব দিচ্ছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ভারতীয় অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এবং পাল্টা অভিযোগ এনেছে ভারতের বিরুদ্ধেও। যদিও দ্বিপাক্ষিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই শনিবার রাতটি শান্তিপূর্ণভাবে কাটায় এলওসি-সংলগ্ন এলাকাগুলো। সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষ ও সেনা সদস্যদের জন্য এটি সাময়িক হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস—এই এমন এক সময়ে যখন প্রতিটি রাতই যেন অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঢাকা।